Tuesday, February 17, 2015

ইদুরের নিস্বার্থ ভালোবাসা

একদেশে ছিল একটি সহজ সরল ইদুর। একদিন সে খাবার চুরি করতে বাইরে বের হলো। হঠাৎ সে দেখতে পেলে একটি সুন্দরি কাক কা... কা... কা... করে গান করছে। ইদুর সে কাকের মধুর গান শুনে পাগল হয়ে প্রেমে পরে গেল। তারপর দিন ইদুরটি আবার বের হল খাবার চুরি করতে আবার সে কাক গান গাইতে শুরু করল। সে তাকে দেখে খাবার চুরি করা বাদ দিয়ে তার গান শুনতে লাগল। ইদুরটি তার গান শুনতে শুনতে কল্পনায় পরে গেল। এখন ইদুরটি কল্পনা করতে লাগলো। ইদুর কল্পনা করল সে কাকটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। কাকটিও তার প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তারা প্রেম করল আরও অনেক কিছু করল। একদিন ইদুরটি কাককে বিয়ে প্রস্তাব দিল এবং বিয়েও হল যখন তারা বাসর ঘরে গেল তখন হঠাৎ ইদুরটি খাট থেকে পরে গেল। তারপর ইদুরটি যখন কল্পনা থেকে বাস্তবে আসল তখন হল কি কাক টি কা.... কা .... কা করতে করতে ইদুরটিকে ধর্ষন (মেরে ফেলেছে) করে তার হৃদয়টি খেয়ে ফেলেছে। (চিরদিনই তুমি যে আমার 3 হয়ে গেল ইদুরটি)। এ হল ইদুরের নিস্বার্থ ভালোবাসা........................


Wednesday, December 31, 2014

ক্লান্তি দূর করে পুদিনাপাতা


পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। পুদিনাপাতার ইংরেজি নাম মিন্ট।সালাদের বাটিতে এটি ভীষণ পরিচিত নাম। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ‘এ’ দ্বারা পরিপূর্ণ পুদিনাপাতা। এর দ্বারা ক্লান্তি ও অবসাদ দূর হয়। এছাড়া পুদিনাপাতায় আছে নানা গুণ।
অতিরিক্ত গরমে ছোট-বড় প্রায় সবারই খাবারে বদহজম বা ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা যায়। এই পাতা পেটের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমিয়ে খাবার হজমে সাহায্য করে।
বাতাস, নোংরা খাবার, নোংরা পরিবেশের মাধ্যমে বংশবিস্তার ঘটে কৃমির। কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে পুদিনাপাতা। অতিরিক্ত জ্বর, বড় কোনো অপারেশন, ডায়রিয়া, দীর্ঘদিন ধরে বমির পর বেশির ভাগ রোগীর মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। পুদিনাপাতা এ ক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনবে মুখের স্বাদ।
পিষে, ধনেপাতার মতো তরকারিতে ছিটিয়ে বা কাঁচা সালাদের সঙ্গে খাওয়া যায়। মাছ, মাংস বা সবজির খাবারে এই পাতা আনে বাড়তি স্বাদ এবং দেহের জন্য প্রয়োজনীয় লবণগুলোকে সরবরাহ করে রক্তের মধ্যে। দেহের জন্য ক্ষতিকর অণুজীবগুলো ধ্বংস করে।
পুদিনাপাতা রান্নার চেয়ে কাঁচা খাওয়াটাই উত্তম। এতে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে বেশি। সর্দি, হাঁচি, কাশি দূর করতেও এই পাতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পুদিনাপাতা, তুলসী পাতা, কাঁচা আদা, মধু মিশিয়ে খেলে ঠাণ্ডা লাগা দ্রুত ভালো হবে

মানব দেহ সম্পর্কিত কিছু তথ্য


 

১। একজন মানুষের রক্তের পরিমাণ তার মোট ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ । অর্থাৎ ৬৫ কেজি ওজন মানুষের রক্তের পরিমাণ হল ৫ কেজি ।
২। দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে ।
৩। রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে ।
৪। দেহের সব শিরাকে পাশাপাশি সাজালে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে ।
৫। একজন মানুষের স্নায়ুতন্ত্র এত লম্বা যে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৭ বার পেঁচানো যাবে ।
৬। কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয় ।
৭। দেহে ও মনে অনুভূতি আসলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে ।
৮। একজন মানুষ সারা জীবনে ৪০ হাজার লিটার মূত্র ত্যাগ করে ।
৯। একজন মানুষের শরীরে চামড়ার পরিমাণ হচ্ছে ২০ বর্গফুট ।
১০। একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ ।
১১। মানুষের শরীরে যে পরিমাণ চর্বি আছে তা দিয়ে ৭ টি বড় জাতের কেক তৈরি সম্ভব ।
১২। মানুষের শরীরে ৬৫০ টি পেশী আছে । কোন কোন কাজে ২০০ টি পেশী সক্রিয় হয় । মুখমন্ডলে ৩০ টির বেশী পেশী আছে । হাসার সময় ১৫ টির বেশী পেশী সক্রিয় হয় ।
১৩। একস্থান থেকে শুরু করে সমগ্র শরীর ঘুরে ঐ স্থানে ফিরে আসতে একটি রক্ত কণিকা ১,০০,০০০ কি মি পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ ২.৫ বার পৃথিবী অতিক্রম করতে পারে ।
১৪। আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় ১০,০০০ টি বিভিন্ন গন্ধ চিনতে ও মনে রাখতে পারে ।

স্বদেশের স্বপ্ন

সমস্ত মনোযোগ নিয়ে পত্রিকার পাতায় চোখ বুলাচ্ছে স্বদেশ। গন্ড বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে ¯্রােতধারা। পৃথিবীর সকল দেশের, সকল ধর্মের, সকল গোত্রের, সকল বর্ণের মানুষই খুবই আপন, নিজ আত্মীয়ের মতো ভাবে স্বদেশ। কি নিজ ভুমির, কি দুনিয়ার অন্য যে কোনে প্রান্তের দেশের জনগণ। সকল মানুষই তো মানুষ। একই রক্ত, একই দৃষ্টিশক্তি, এক হাত-পা, শরীরের গঠন সবই তো এক। রঙের ক্ষেত্রে সাদা-কালো কোন বৈষম্য তৈরী করতে পারে না। স্বদেশ জানে, একজন শিশু যখন ভূমিষ্ট হয়, তখন সে আদম সন্তান হয়েই জন্মগ্রহণ করে। বড় হতে হতে শিশুটি জানতে পারে তার ধর্ম, বর্ণ সম্পর্কে। মানুষ যে ধর্মেরই হোক না কেন, মানবিক গুণাবলী অর্থাৎ যে গুণাবলির কারণে সে মানুষ, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব সেসকল গুণাবলী সকল ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে প্রায়ই এক ও অভিন্ন। কেউ কারো সাথে অসদাচরণ করবে না, অন্যায় করবে না, কারো সম্পদ লুন্ঠন করবে না, অন্যায়ভাবে কেউ কাউকে হত্যা করবে না, অন্যের প্রতি সহমর্মিতা, সহযোগিতামুলক মনোভাব থাকবে সবার মাঝে। ধর্মীয় দৃষ্টিতেও কেউ কখনো অন্য ধর্মের সাথে এসকল আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থে। তবে কেন আজ ফিলিস্তিনিদের এমন দুর্দশা? কেন আজ জনারণ্যে ফেলা হচ্ছে বিমান থেকে প্রাণঘাতি বোমা? হত্যা করা হচ্ছে নিরহ শিশু সন্তানকে, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের, মহিলাদের, সাধারণ খেটে খাওয়া ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের? কিসের জন্য এমন বর্বরতা, কিসের নেশায় আজ মুসমানদের রক্ত পানে মত্ত ইসরাইলী বাহিনী? কোন বিশ্বাসের উপর আস্থা রেখে ইসরাইলীরা বুকের ধন নিজের নিষ্পাপ শিশুর লাশ তুলে দিচ্ছে মা-বাবার কোলে, নিরহ স্বামীকে হত্যা করে স্ত্রীকে করছে বিধবা, বৃদ্ধ পিতার কাঁধে তুলে দিচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বোঝা সন্তানের লাশ, সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থে নির্মিত আবাসভুমিকে গোলার আঘাতে ধ্বংস করে দিচ্ছে? আহতদের চিকিৎসা দেবার স্থান হাসপাতালকেও লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। কিন্তু কেন? ওরা কি সত্যিই কোন মানুষ, ওরা কি সত্যিই কোন মতকে বিশ্বাস করে? মনে হয় না।

Tuesday, December 23, 2014

সৈয়দ মাইনুল হোসেন ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ






মানুষের জন্মই হয় মৃত্যুর জন্য। কিন্তু এই অঘোম মৃত্যুও অনেককে অমর করে রাখে তাঁর কর্মের জন্য। সৃষ্টিশীল কর্মের ফলে স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকে দেশ তথা জাতির কাছে। তেমনি এক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।

জন্ম ও বংশ পরিচয়:
সৈয়দ মাইনুল হোসেন ১৯৫১ সালের ১৭ মার্চ ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ম্যাট্রিকুলেশন/এস,এস,সি পরীক্ষার আগে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষকদের ভুলের কারণে তাঁর সার্টিফিকেটে জন্ম তারিখ লেখা হয় ৮ মে ১৯৫২। পত্র-পত্রিকায় ভুল করে লেখা হয় ৫ মে ১৯৫২। পৈত্রিক নিবাস মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ির দামপাড়া গ্রাম। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ মুজিবুল হক এবং মাতা রাশিদা হক। পিতা চৌমুহনী সরকারি এস, এ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটান। এর আগে তিনি ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক, যশোর শিক্ষাবোর্ডের কন্ট্রলারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ইন্তেকাল করেন। মাইনুল হোসেনের দাদা ছিলেন প্রখ্যাত কবি সৈয়দ এমদাদ আলী, নানা ছিলেন আরেক প্রখ্যাত কবি গোলাম মোস্তফা, মামা দেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার, ভাগিনা সায়েন্টিফিক বিষয়ে অস্কার বিজয়ী নাফিস বিন জাফর। তিন ভাইবোনের মধ্যে মাইনুল হোসেন ছিলেন সবার বড়। বোন সৈয়দা নাফিসা জাফর, সবার ছোট ভাই সৈয়দ মেহেদী হোসেন।

Monday, August 18, 2014

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও এর প্রেক্ষাপট


১৯৭১ সালে সংঘঠিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে একটি স্বাধীন দেশ ‘বাংলাদেশ’। এই স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল ১৯৪৭ সালে পাক-ভারত বিভক্তির পর পরই। ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীন হয়ে জন্ম নেয় ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে গঠিত হয় পাকিস্তান এবং হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় ভরত। নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তান দুই হাজার মাইলের ব্যবধানে অবস্থিত দুটি প্রদেশের সমন্বয়ে গঠিত হয় - পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তান। ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে বিস্তর পার্থক্য থাকলেও মিল ছিল কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর হতেই পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের সাথে বিমাতাসূলত আচরণ করতে থাকে। স্বাধীন হওয়ার পূর্বে পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসন ছিল কেবলমাত্র শোষণ আর বঞ্চনার ইতিহাস।

Monday, August 4, 2014

সাহানার স্বপ্ন

হাসপাতালের বারান্দায় অনেক লোকের জটলা। নার্সদের ছোটাছুটি একজন রোগীকে কেন্দ্র করে। ভদ্রলোক নিজে হাসপাতালের এমার্জেন্সীতে এসেই ঢলে পড়ে যান। নার্সরা ধরাধরি করে দ্রুত এমার্জেন্সীতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুরুষ ওয়ার্ডে। অচেতন হয়ে আছেন বিছানায়। নার্স রুমা ভদ্রলোকের মাথার কাছে দাঁড়িয়ে কপাল টিপছে, চুলে হাত বুলাচ্ছে। রোগীর সাথে নিকট আত্মীয় কেউ নেই। নিজে একাই এসেছে। রোগীটি রুমার কাছে অনেক পুরনো। এর আগেও বেশ ক’বার এসেছে। রুমাকে নিজের বোন মনে করে রোগীটি। প্রথমবার যখন এখানে জ্বর নিয়ে এসে ভর্তি হয় তখন থেকেই তার সাথে এমন সখ্যতা।
ডা. সাহানা পুরুষ ওয়ার্ডের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। নিজ কামরায় ঢুকে ডেকে পাঠান নার্স রুমাকে। নতুন রোগীর মাথায় হাত বুলানো নিয়ে প্রশ্ন করে। রুমা বলে, ম্যাডাম এই রোগীর সাথে কোন আত্মীয় স্বজন কেউ নেই। আর কখনোই আসে না।
-তার মানে এই রোগী কি এর আগেও এখানে এসেছিল না-কি?
-জ্বি ম্যাডাম। এর আগে চারবার এসেছিলেন। প্রতিবারই এই হাসপাতালেই উনি আসেন। সুস্থ হয়েই ফিরে যান।